Help Line : 01831910346

Help Line : 01831910346
আপনিও হউন সাংবাদিক ।সাংবাদিকতা শিক্ষার সুযোগ । সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি

ম্যাজিক বুলেট



সাংবাদিকতায় ‘ম্যাজিক বুলেট’তত্ত্বটিতে বলা হয়, ‘মিডিয়ার এমন একটি ক্ষমতা রয়েছে যা সমাজে ম্যাজিক বুলেটের মতো কাজ করে। মিডিয়া যা বলবে, সমাজ, সমাজের মানুষ সেভাবেই কাজ করবে’।
এখানে দু’টি শব্দ- একটি 'ম্যাজিক', অন্যটি 'বুলেট'।  দু’টি শব্দই কিন্তু নিজ ক্ষমতা ও কার্যকারিতায় শক্তিশালী। যাদুর কাঠির ছোঁয়ায় যেমন পাল্টে যায় কোনো কিছু, ঠিক তেমনটি ঘটলে আমরা বলি... ‘বাহ যাদুর মতো কাজ করেছে’। আর বুলেট যেমন ছুটে এসে দ্রুত আঘাত করে, তেমন কিছু ঘটলে আমরা বলি, ‘বাহ! বুলেটের মতো কাজ হয়েছে’।

আর এই ম্যাজিক বুলেট তত্ত্বের যারা আবিষ্কারক, তারা মিডিয়ার ক্ষমতাকে এমনভাবে দেখেছেন যে, তার প্রকাশে এ দু’টি শক্তিশালী শব্দকে একসঙ্গে ব্যবহার করছেন। তারা বলেছেন, ‘মিডিয়া’ নামের ‘বন্দুক’ থেকে যখন গুলি বের হয়, তখন তা সরাসরি দর্শক, পাঠক শ্রোতার 'মস্তিষ্কে' আঘাত করে।
এটিকে ‘হাইপোডারমিক নিডল’ মডেলও বলেছেন তারা। অর্থাৎ বলা হয়, ‘মিডিয়ার কোনো বার্তা তার দর্শকের মস্তিষ্কে সরাসরি ইনজেক্ট করে দেয়। তখন মিডিয়া যেভাবে চায়, পাঠক-দর্শক সেভাবেই আচরণ করে’।
কিন্তু মিডিয়ার সে ক্ষমতা আজ লোপ পেয়েছে। ১৯৩০-এর দশকে নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি অব টোয়েন্টের দেওয়া এ আচরণতত্ত্বটি মূলত প্রণীত হয় নাৎসি প্রোপাগান্ডায় হলিউডের ব্যবহারকে কেন্দ্র করে, যা আজ আর চলে না। সুতরাং, মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মিডিয়ার ক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ বললে ভুল হবে, বস্তুতপক্ষে ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। একটি কথা অন্তত বলাই চলে- এখানে মিডিয়ার ম্যাজিক বুলেট তত্ত্ব কাজ করেনি।

No comments

Theme images by merrymoonmary. Powered by Blogger.